চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোর আগুন নেভাতে গিয়ে জীবন হারান মানিকগঞ্জের রানা মিয়া (২২)। রবিবার (৫ জুন) দুপুরে রানার মরদেহ শনাক্ত করেন তার দুলাভাই বিজিবি সদস্য রাসেল শেখ। রানার গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার নবগ্রাম গ্রামে।
শিবালয় ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তা মজিবুর রহমান নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, রানার বাবা পান্নু মিয়া ঢাকায় থাকেন। তারা তিন ভাইবোন। তার ছোট ভাই ও মা জানেন না রানা মিয়া আগুন নেভাতে গিয়ে জীবন দিয়েছেন। রানার মরদেহ শনাক্ত হওয়ার পর তার মামা ইউসুফ আলী চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে গেছেন।
শিবালয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলাল উদ্দিন আলাল জানান, রানা মিয়া চট্টগ্রামের কুমিরা ফায়ার স্টেশনে কর্মরত ছিলেন। শনিবার রাতে সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোর আগুন নেভাতে গিয়ে নিখোঁজ হন।
রানা মিয়া ২০২০ সালে ফায়ার সার্ভিসে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রামের কুমিরা ফায়ার স্টেশনে কর্মরত ছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি অবিবাহিত। নিহতের কয়েকজন বন্ধু জানান, সোমবার সকালে তার মরদহ গ্রামের বাড়ি শিবালয় উপজেলার নবগ্রামে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন বলেন, ফায়ার সার্ভিসের একজন সদস্য চট্টগ্রামে সীতাকুণ্ডে নিহত হয়েছেন। যার বাড়ি শিবালয়ের নবগ্রামে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শিবালয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলাল উদ্দিন জানান, নিহত রানা মিয়া আমাদের ইউনিয়নের নবগ্রাম গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার রানা বাড়ি এসেছিলেন। রানা ছুটিতে গ্রামে আসলে বিভিন্ন সামাজিক কাজ করতেন। তার মৃত্যুতে আমরা শোকাহত।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।